মেয়েটি
অন্ধ হওয়ার কারনে সে সব সময়একা একা থাকতে পছন্দ করত । সবকিছু তারকাছে বিরক্তি
সৃষ্টি করত । প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখতে না পারার ক্ষোভে সে
রাগান্বিত থাকত আর নিজেকেই কষ্ট দিত।সব চেয়ে সুন্দর সময় কাটত যখন সেএকটি ছেলের
সাথে ফোনে কথা বলত ।
ছেলেটির কথা তার এত ভালো লাগত কেন- তা সে নিজেই জানতনা ।একদিন ছেলেটি
মেয়েকে ভালবাসার কথা বলে । ছেলেটিকে হারাবে জেনেও সে তাকে তার অন্ধত্তের কথাজানায় ।
...
এতে
ছেলেটি মন খারাপ করলেওসে মেয়েটিকে আগের চেয়ে আরও বেশি ভালোবাসতে থাকে ।এর
ভিতর একদিন মেয়েটির পরিবার তাদের মেয়ের জন্য একজন ডোনার পায়। অপারেশনের পর মেয়েটি চোখে দেখতে পায় । অসম্ভব
এক ভালো লাগা তাকে আচ্ছন্নকরে ফেলে । আয়নাতে
সে অসম্ভব সন্দর এক মেয়েকে দেখতে পায়- যা তারই
প্রতিচ্ছবি । সে ছেলেটিকে তার খুশির কথা
জানায় এবং তার সাথে দেখা করতে
চায় । কিন্তু ছেলেটি তার সাথে দেখা
করতে চায়না ।মেয়েটি ভীষণ অবাক হয় আর তার কারন জানতে চাইলে ছেলেটি তার ভয়ের কথা জানায় । ছেলেটি আশঙ্কা প্রকাশ করে হয়ত যখন মেয়েটি তাকে দেখতে পাবে তখনতাকে অপছন্দ করবে । মেয়েটি তার এই আশঙ্কাকে ভুল বলে দেখা করতে চায় ।
অবশেষে তাদের দেখা হয়। কিন্তু মেয়েটি যা কল্পনাতেও আনেনি ঠিক তাই সে দেখতা পায়। এই ছেলেটিওতার অতীতের মত অন্ধ ।
মেয়েটি হাজার চেষ্টা করেও নিজের মনকে বুঝাতে অক্ষম হয় । সে ছেলেটির প্রতি করুণা অনুভব করে কিন্তু আগের মতভালবাসতে পারেনা । মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে তাকে ফিরে যেতে বলে।
ছেলেটি নিরবে সেখান থেকে প্রস্থান করে ।
মেয়েটি পরের দিন ঘুম থেকেউঠে মোবাইলে ছেলেটির একটি মেসেজ পায় -
"আমি এই মোবাইলের সিম চিরদিনের মত বন্ধ করে দিচ্ছি । শুধু একটি অনুরোধআমার চোখ দিয়ে তুমি কখনো কান্না করোনা” ।
মেয়েটি তার সারা জীবনে আরছেলেটির দেখা পায়নি । সে মর্মে মর্মে উপলব্ধিকরে বাহ্যিক রুপ সৌন্দর্যের চেয়ে অন্তরের সৌন্দর্যেরশক্তি অনেক...অনেক বেশি
No comments:
Post a Comment
Note: only a member of this blog may post a comment.